দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : রাতের অন্ধকারে গ্রামে ঢুকে সাধারণ গ্রামবাসীদের উপর নির্বিবাদে লাঠিচার্জ ও মারধোরের অভিযোগ উঠলো সিভিক ভল্যান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে ঐ ঘটনার পর 'নিখোঁজ' এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানা এলাকার বালসি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মোজকুড়ি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধ্যায় জনা আটেক সিভিক ভল্যান্টিয়ার মোজকুড়ি গ্রামে ঢুকে অবাধে লাঠিচার্জ শুরু করে। তাদের আক্রমণের হাত থেকে মহিলারাও বাদ যাননি বলে অভিযোগ। এমনকি মারধোরের পাশাপাশি বাড়ি ছাড়া ও কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। এই ঘটনা চলাকালীন 'আতঙ্কিত' গ্রামবাসী সদানন্দ বাগদী বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। পরিবারের লোকেরা রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান মেলেনি। পরে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের একটি পুকুর পাড়ের গাছে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামে পুলিশ গেলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। মৃতদেহ আটকে রেখে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন উত্তেজিত জনতা। তাদের অভিযোগ, আত্মহত্যা নয়, ঐ সিভিক ভল্যান্টিয়াররাই খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে। অভিযুক্ত সিভিক ভল্যান্টিয়ারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে তারা সরব হন।
মৃতের ছেলে, বৌমা মিঠুন বাগদী, অপর্ণা বাগদীরা সিভিক ভল্যান্টিয়াররা বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক মারধোর চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বলেন, ওরাই আমাদের বাবাকে 'খুন' করেছে। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তারা।
পরে পাত্রসায়র থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ছে। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্ত চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।