সিভিক কর্মীদের বিরুদ্ধে বেপোরোয়া মারধোরের অভিযোগ , উত্তপ্ত বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের

30th July 2020 2:44 pm বাঁকুড়া
 সিভিক কর্মীদের বিরুদ্ধে বেপোরোয়া মারধোরের অভিযোগ , উত্তপ্ত বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : রাতের অন্ধকারে গ্রামে ঢুকে সাধারণ গ্রামবাসীদের উপর নির্বিবাদে লাঠিচার্জ ও মারধোরের অভিযোগ উঠলো সিভিক ভল্যান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে ঐ ঘটনার পর 'নিখোঁজ' এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানা এলাকার বালসি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মোজকুড়ি গ্রামে।

   স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধ্যায় জনা আটেক সিভিক ভল্যান্টিয়ার মোজকুড়ি গ্রামে ঢুকে অবাধে লাঠিচার্জ শুরু করে। তাদের আক্রমণের হাত থেকে মহিলারাও বাদ যাননি বলে অভিযোগ। এমনকি মারধোরের পাশাপাশি বাড়ি ছাড়া ও কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। এই ঘটনা চলাকালীন 'আতঙ্কিত' গ্রামবাসী সদানন্দ  বাগদী বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। পরিবারের লোকেরা রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান মেলেনি। পরে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের একটি পুকুর পাড়ের গাছে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়।  ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামে পুলিশ গেলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। মৃতদেহ আটকে রেখে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন উত্তেজিত জনতা। তাদের অভিযোগ, আত্মহত্যা নয়, ঐ সিভিক ভল্যান্টিয়াররাই খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে। অভিযুক্ত সিভিক ভল্যান্টিয়ারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে তারা সরব হন।

   মৃতের ছেলে, বৌমা মিঠুন বাগদী, অপর্ণা বাগদীরা সিভিক ভল্যান্টিয়াররা বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক মারধোর চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বলেন,  ওরাই আমাদের বাবাকে 'খুন' করেছে। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তারা।

   পরে পাত্রসায়র থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ছে। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্ত চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।